Overview
একজন ব্যক্তির জীবনকালে তার হৃৎপিণ্ড প্রতি মিনিটে প্রায় ৭২ বার স্পন্দিত হয়। এই ধরনের গতানুগতিক এবং ছন্দময় পালসগুলি সম্পাদন করার জন্য এবং রক্তকে কার্যকরভাবে পাম্প করার জন্য, এটি সিনো- আর্টেরিয়াল নোড থেকে বৈদ্যুতিক স্পন্দন তৈরি করে। যখন এই নোডটি বৈদ্যুতিক প্রবণতা তৈরি করা বন্ধ করে দেয়, সিনো- আর্টেরিয়াল নোডের ক্রিয়াকলাপটি বজায় রাখার জন্য একটি কৃত্রিমভাবে এবং বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত মেডিকেল ডিভাইস বুকের প্রাচীরে স্থাপন করা হয়। এই কৃত্রিম বৈদ্যুতিক ডিভাইসটিকে পেসমেকার বলা হয় এবং এর সার্জিক্যাল পদ্ধতিটি পেসমেকার প্রতিস্থাপন হিসাবে অভিহিত করা হয়। ভারতবর্ষের ম্যাক্স হসপিটাল পেসমেকার প্রতিস্থাপনের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ প্রতিষ্ঠান, কারণ এই হাসপাতালের মধ্যে অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং বিশেষভাবে অভিজ্ঞ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ রয়েছেন।
পেসমেকার বসানোর লক্ষণ
ট্যাকিকার্ডিয়া বা হার্ট রেট বৃদ্ধি এবং ব্র্যাডিকার্ডিয়া বা হার্ট রেট হ্রাস পাওয়া এই দুটি অবস্থার জন্য পেসমেকার স্থাপন করা বাধ্যতামূলক। উভয় ক্ষেত্রেই শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত এবং অক্সিজেন পেতে সক্ষম হয় না। এই অবস্থায় যে উপসর্গগুলি লক্ষ্য করা যায়:
- অবসাদ
- বুকের চাপ এবং ব্যথা
- মাথা ঘোরা
- মূর্ছা, সিঙ্কোপ নামেও পরিচিত
- শ্বাস নিতে সমস্যা
- বুক ধড়ফড় - বুক ধড়াস করে ওঠা
- কোনও ভারী কাজ করার সময় অক্ষমতা
মেডিকেল টেস্ট এবং ডায়াগনোসিস
পেসমেকার স্থাপন করার আগে কিছু পরীক্ষা করা হয় যেগুলি নিম্নরূপ:
- ইসিজি
- ইকোকার্ডিওগ্রাম
- স্ট্রেস টেস্ট
- হোল্টার মনিটরিং
- সার্জারি বা অস্ত্রোপচারের আগে সাবধানতা